ইসলামী শিক্ষা ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য ও মৌলিক গুণসম্পন্ন। প্রচলিত বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞানকে অনেকে ইসলামী শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করে না; যা অমূলক ও গ্রহনযোগ্য নয়। যেমন- ভাষা, সাহিত্য, দর্শন, গণিত, প্রকৌশল, আইন, বিচার, ভূগোল, নৃবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থ, চিকিৎসা ইত্যাদি। অথচ মানুষের উপকারে আসে এমন সকল প্রকার জ্ঞান ইসলামী শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত। এ সকল বিষয়ে ক্লাসিক্যাল ইসলামী পণ্ডিতদের জোরালো গবেষণা, উদ্ভাবন ও মৌলিক কাজ এটাই প্রমাণ করে। তবে নীতি-নৈতিকতা ধ্বংসকারী যে কোন প্রকার জ্ঞানের বিষয়ে ইসলাম সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি রাখে এবং মানুষকে তা কোন পথে নিয়ে যায় -সেটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে। যেমন- পর্ণগ্রাফি, ইরোটিকা, কমিকস, কার্টুন, ফ্যান্টাসি, রোমান্স, ফিকশন, ঘোস্ট বা হরর ফিকশন ইত্যাদি যা মানুষের নৈতিকতাকে ধ্বংস করে দেয় ও মনস্তত্বকে দারুণভাবে আঘাত করে; এসব ইসলামী শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত নয়। কিন্তু নৈতিকভাবে যা মানুষের উপকারে আসে এবং যা সমাজ ও সংস্কৃতি বিনাশি নয়, তাকে ইসলামী শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত বলে স্বীকৃতি দেয়।

 

ইসলামী আক্বীদাহ ও শরীয়াহর মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক নয় এমন সকল জ্ঞান-বিজ্ঞান ইসলামী শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত। তন্মধ্যে রয়েছে যেমন, গণিত শাস্ত্র যা মানুষের অতীব প্রয়োজনীয় গণন কাজে ব্যবহৃত হয়, প্রকৌশল শাস্ত্র যা মানুষের নির্মাণ কাজে লাগে, চিকিৎসা শাস্ত্র যা মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কাজে লাগে। এছাড়া এমন সব সাহিত্য ও দর্শন যা পাঠ করলে মানুষের বুদ্ধি-বিবেক শাণিত হয় ও মানুষের নীতি-নৈতিকতার বিকাশ ঘটে। কাজেই এখানে ইসলামী শিক্ষার একটি মূলনীতি বিশেষভাবে ফুটে ওঠে। আর তা হল- মানবকল্যাণ ও মানুষের বুদ্ধি-বিবেককে জাগ্রত ও পরিশুদ্ধ করা।

 

এমতাবস্থায় ইসলামী শিক্ষার সংজ্ঞা যদি আমরা প্রণয়ন করি, তাহলে শুধু কোরআন ও সুন্নাহর আক্ষরিক অর্থের মাঝে এ শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা যায় না। কেননা এতদভিন্ন অন্যান্য শাস্ত্রীয় জ্ঞান যে কোরআন-সুন্নাহর বাইরে -তাও বলা যায় না। অথচ বাস্তবে কোরআন ও সুন্নাহর মাঝেই রয়েছে বিজ্ঞান, গণিত, উত্তরাধিকার, ফৌজদারি আইন, প্রকৌশল, চিকিৎসা, পদার্থ, রসায়ন, নৃ, ভূ ইত্যাদি বিদ্যা ও অত্যন্ত উঁচু মানের সাহিত্য ও দর্শনীয় জ্ঞানের মূলমন্ত্র। এমতাবস্থায় আমাদেরকে ইসলামী শিক্ষার এমন একটি সংজ্ঞা প্রণয়ন করতে হয়, যা সামগ্রিকভাবে সকল প্রকার নৈতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানকে একিভূত করবে। সুতরাং এদিকথেকে ইসলামী শিক্ষা হল, আল্লাহ ও তাঁর প্রেরিত নবী-রাসূলগণ থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা এবং সে আলোকে কল্যাণমূলক আবিস্কৃত ও অনাবিস্কৃত সকল প্রকার জ্ঞান অনুশীলন করা।

 

ইসলামী শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। এ শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হল- মানুষকে দায়িত্ব পালনের যোগ্যকরে গড়ে তোলা এবং উৎপাদনমুখী ও সুখী-সমৃদ্ধশালী জীবন উপহার দেওয়া। এছাড়া সমগ্র মানবজাতিকে সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানানো এবং যাবতীয় কল্যাণকর বিষয়াবলী মানবজাতির সামনে উন্মুক্ত করে দেওয়া। এ শিক্ষার কোন অংশ গোপন রাখা বা প্রকাশ না করা মস্তবড় অপরাধ। কাজেই এ ঘরানার সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিদ্যার্থী, লেখক-গবেষক-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবি নির্বিশেষে সকলের দায়িত্ব হল, তাঁরা যা জানে তা অন্যদেরকে বিনাশূল্কে জানিয়ে দেওয়া ও সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া।

 

ইসলামী শিক্ষার আরেকটি বিশেষ লক্ষ্য হল- উন্নত জাতি গঠন। যাতে প্রত্যেক বিদ্যার্থী ও বিদ্যান সর্বাগ্রে নিজের চরিত্রের প্রতি তাকায় এবং নিজের জীবনকে মূল্যবান ও সার্থক করে তুলতে পারে। পাশাপাশি নিজেকে অন্যান্য মানুষের অনুপ্রেরণার উৎসে পরিণত করতে সক্ষম হয়। কেননা ইসলামী শিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়ে যে চরিত্র অর্জিত হয়, তার আলোকচ্ছটা যদি সমাজকে প্রভাবিত না করে, তাহলে বুঝতে হবে এর প্রয়োগজনিত সমস্যা (implementation crisis) রয়েছে।

 

বাস্তবে ইসলামী শিক্ষার প্রয়োগ সংক্রান্ত সমস্যাই অধিক পরিলক্ষিত হয়। এর অবশ্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে; তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- একটি পর্যায়ে গিয়ে এ শিক্ষার বিদ্যার্থিদের জ্ঞানচর্চা থেকে হাত গুটিয়ে নেয়া ও নিজের জ্ঞানার্জনকে যথেষ্ট্য মনে করা। বস্তুতঃ বাস্তব জীবনে ইসলামী শিক্ষার প্রয়োগ সম্পর্কিত দক্ষতা অর্জনের পথে এটি প্রধান অন্তরায়। মনে রাখা প্রয়োজন যে, ইসলামী শিক্ষার একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হল- এটি এমন এক ‘শিক্ষা ব্যবস্থাপনা’ (teaching management) যা নিরন্তর চালিয়ে যেতে হয় এবং এতে কোনপ্রকার বিরতি দেয়া যায় না। আর এ প্রকল্পের নাম হল- ‘দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞানার্জন।’ অর্থাৎ- আজীবন ছাত্র থাকা। কাজেই এ প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হতে না পারলে এ শিক্ষার বিদ্যার্থীদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়।

 

বাস্তব জীবনে ইসলামী শিক্ষা প্রয়োগে আরেকটি বিরাট সমস্যা হল- জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ণয় করতে না পারা এবং বারবার মূল টেক্সট তথা কোরআন ও সুন্নাহ থেকে দূরে সরে যাওয়া। এজন্য যারা এ বিদ্যা চর্চায় লেগে থাকতে চায়, তাদেরকে অবশ্যই এ ঘরানার জ্ঞানে অগ্রাধিকারসম্পন্ন বিষয়সমূহ আগে স্থির করে নিতে হয় এবং জানা ও মানার ক্ষেত্র অনুরূপ প্রাধান্য দিতে হয়। তবেই সাফল্য আশা করা যায়!

 

দুনিয়াবি সফলতা অর্জনের পাশাপাশি ইসলামী শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য হল- পরকালিন জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করা। এজন্য এ শিক্ষার প্রধান তিনটি কর্মসূচী হল- ১. তাওহীদ, ২. রিসালাত ও ৩. আখিরাত। প্রথম কর্মসূচী উভয় জাহানে মানুষের সাফল্য লাভের একমাত্র ভিত্তি। যাতে রয়েছে, মানুষের সামনে তার সৃষ্টিকর্তার সুস্পষ্ট পরিচয় তুলে ধরা। ফলে এখানে মানুষ সাধারণত নাস্তিক হয় না। দ্বিতীয় কর্মসূচী রিসালাতের আওতায় মানুষের ইহকালীন জীবন সুখী-সমৃদ্ধশালী করা ও অনুকরণীয় চরিত্র গঠন করা। আর তৃতীয় কর্মসূচীর আওতায় আখিরাতের জ্ঞান প্রদান করা, যাতে মানুষ পরকালীন জীবনে চিরস্থায়ী জান্নাত লাভ করতে সক্ষম হয়।

 

এসকল মৌলিক কর্মসূচী ছাড়াও ইসলামী শিক্ষার অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- জীবিকার মানোন্নয়ন, মানবিকতার চর্চা ও সমাজ-সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধন, ইহকাল ও পরকালের মাঝে ভারসাম্য ও সেতুবন্ধন তৈরী করা, আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জন, প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা ও উদারতা, ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠা, জনকল্যাণ, বিশ্বভাতৃত্ব ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা, ব্যক্তিত্বগঠন, আত্মমর্যাদাবোধ সৃষ্টি ও সৃজনশীলতা অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি নাগরিকের উপকার করা।

 

ইসলামী শিক্ষার দুয়ার সমগ্র মানবতার জন্য উন্মুক্ত। ধর্ম-বর্ণ, দল-গোত্র, ভাষা-দেশ, সাদা-কালো, ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু, জ্ঞানী-অজ্ঞানী নির্বিশেষে সবার রয়েছে এ শিক্ষা গ্রহণের সমান অধিকার। ইসলামী শিক্ষার কাজ হল- সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসা এবং ভেদাভেদ দূর করা। ফলে এ শিক্ষায় প্রত্যেক শিক্ষকের কাছে ছাত্ররা সমগুরুত্ব ও মর্যাদাসম্পন্ন। এখানে কেউ ছোট নয় এবং কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ইসলামী শিক্ষার দারস বা মজলিসে সবাই এক ও অভিন্ন এবং সবার প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা সমগুরুত্বপূর্ণ। সাম্য হল ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাপনার মূলনীতি।

 

ইসলামী শিক্ষা অর্জনের পদ্ধতি প্রধানত দুটি। ১. ব্যক্তিগত পদ্ধতি ও ২. একাডেমিক পদ্ধতি। এ উভয় পদ্ধতিতে ইসলামী শিক্ষায় জ্ঞানচর্চা হয়ে থাকে এবং বিকাশ সাধিত হয়। একাডেমিক শিক্ষা স্বীকৃত মাদরাসা, মারকাজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সুনির্দিষ্ট সিলেবাস অনুসরণ করে চলে। কিন্তু ব্যক্তিগত শিক্ষা পদ্ধতি কিছুটা ভিন্নতর এবং তা কোন সুনির্দিষ্ট সিলেবাস অনুসরণ করে চলে না। এ পর্যায়ে ব্যক্তির প্রবল আগ্রহ ও সৃজনশীলতা ইসলামী শিক্ষা অর্জনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

ইসলামী শিক্ষায় একাডেমিক ও নন একাডেমিক শিক্ষার্থীর মাঝে পার্থক্য করা যায় শুধুমাত্র গবেষণা ও চিন্তাধারার পার্থক্য দিয়ে। এ শিক্ষা ব্যবস্থায় একাডেমিশিয়ান বা ননএকাডেমিশিয়ান বড় বিষয় নয়; বরং শুদ্ধ গবেষণা ও চিন্তাধারাই মূলকথা। কে কোথা থেকে লেখা-পড়া করে এলো বা ডিগ্রি অর্জন করলো, তা প্রধান বিবেচ্য বিষয় নয়। প্রধান বিবেচ্য বিষয় হল- সত্য উদঘাটন ও বস্তুনিষ্ঠ প্রকাশনা। তবে যে কোন পর্যায়ে গবেষণার বস্তুনিষ্ঠতার স্বার্থে গবেষকদেরকে একটি স্ট্যান্ডার্ড বা ‘গবেষণা রীতি’ অনুসরণ করে চলতে হয়। যা সবযুগে সবার জন্য প্রযোজ্য এবং তা পাশকাটিয়ে চলার সুযোগ কারো নেই।

 

ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে -এ প্রশ্ন ইসলামী চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদদের মাথাব্যথার কারণ। এ নিয়ে যুগে যুগে বহু কার্যকর এবং অকার্যকর মেথড প্রণীত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ইসলামী শিক্ষা নিয়ে টেনশনের কোন কারণ থাকতো না, যদি ক্ল্যাসিক্যাল যুগের ন্যায় প্রতিটি ঘরকে একএকটি বিদ্যাপিঠ বা ‘হোম স্কুলে’ পরিণত করা যেতো, যদি প্রতিটি ঘরে বাবা-মা অথবা বড় ভাই-বোনরা ছোটদের শিক্ষক-শিক্ষিকা হয়ে যেতো এবং ঘরের শোকেসগুলো লাইব্রেরী হয়ে যেতো!

 

যারা মাদরাসা-মারকাজ ব্যতীত ইসলামী শিক্ষা অর্জন করা আদৌ সম্ভব নয় বলে মনে করে, তাদের দাবী সর্বাংশে সঠিক নয়। কেননা বাস্তবে মাদরাসা-মারকাজে লেখা-পড়া করেনি -এমন বহু ইসলামী বিশেষজ্ঞকে দেখা যায়, যাঁরা উম্মাহর সামনে গভীর ইসলামী জ্ঞান ও উন্নত চরিত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন। অথচ তাঁরা কেবল ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং পরিবারের সহায়তায় ইসলামী জ্ঞানার্জনের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছেন। কাজেই ইসলামী শিক্ষা মৌলিকভাবে ব্যক্তির প্রবল ইচ্ছা বা ঐকান্তিকতা নির্ভর। বাস্তব কথা হল- ইসলামী শিক্ষা আসলে কোন একাডেমি বা প্রতিষ্ঠান নির্ভর নয়, বরং তা টেক্সট (text) নির্ভর। ফলে সকল ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কখনো বন্ধকরেও দেয়া হয়, তথাপি এ শিক্ষার ট্রেন কখনো থেমে থাকবে না।

 

ইসলামী শিক্ষা কিভাবে বাস্তবায়িত হবে -এ প্রশ্নের জবাবে বলা যায়, এ শিক্ষাকে অন্যান্য শিক্ষার ন্যায় কোন সুনির্দিষ্ট একাডেমি বা মেথডের মাঝে আবদ্ধ করা ঠিক নয়। বরং এটি এমন এক সার্বজনীন শিক্ষার নাম, যার ব্যাপকতা অত্যন্ত সুদূর প্রসারী। তা প্রথমতঃ অর্জিত হয় নিজের প্রবল ইচ্ছায়, পরিবারের সহায়তায়, কোন সুনির্দিষ্ট একাডেমি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে, নিজ কর্মস্থল থেকে, কোন সভা-সমিতি বা সংগঠন থেকে, কোন দেশ বা রাষ্ট্র থেকে।

 

মোদ্দাকথা হল- ইসলামী শিক্ষা কোন সুনির্দিষ্ট ছকে বাঁধা নয়। এর বহুমাত্রিক ফরমেট রয়েছে। কখনো তা ব্যক্তি পর্যায়ে নিজস্ব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অর্জিত হতে পারে। আবার কখনো তা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্য থেকে হতে পারে। আবার কখনো তা নবউদ্ভাবিত ভিন্ন কোন পন্থায়ও হতে পারে। যেমন, বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে ইসলামী শিক্ষার ব্যাপকতা বহুগুণ বৃদ্ধি লাভ করেছে। এখন শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট একাডেমি নয় বরং দেশ-মহাদেশ ছাড়িয়ে নিজ গৃহে বসেই শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক স্কলারদের শিষ্যত্ব অর্জন করতে পারছে। তাছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইসলামী বই-পত্রের এত সহজপ্রাপ্তির কথা ইতিপূর্বে চিন্তাও করা যায়নি। ফলে সকলের উচিৎ ইসলামী শিক্ষার এ অবারিত সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো এবং তা দিকবিদিক ছড়িয়ে দেয়া।

 

 

Spread the love