এ বি এম মুহিউদ্দীন ফারাদী

 

এ বি এম মুহিউদ্দীন ফারাদী-র জন্ম ১ মার্চ ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলাধিন হায়দরগঞ্জের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে। পিতা মাওলানা মুহাম্মাদ আমানাতুল্লাহ একজন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ইমাম, মুহাদ্দিস ও ফকীহ। মাতা নূরজাহান বেগম গৃহিণী।

তিনি প্রথম কোরআন পড়তে শিখেন পিতার কাছে। পিতার কাছেই হাদীস, উসূল, ফিকহ, ছরফ, নাহু, আরবী ভাষা ও সাহিত্য, মানতিক এবং ইসলামের মৌলিক বিধিবিধান সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। আল-ফারাদী নিজ গ্রামের হায়দরগঞ্জ টি. আর. এম. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা এবং হায়দরগঞ্জ তাহেরিয়া আর. এম. কামিল মাদরাসায় দ্বিনী শিক্ষা অর্জন করেন।

২০০৬ -০৭ সেশনে মাদরাসার ছাত্রসংসদের নির্বাচিত ভিপির দায়িত্ব পালন করেন এবং ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। এ সময় তিনি দেয়ালিকায় নিয়মিত রচনা লিখতেন এবং এখানেই তাঁর লেখালেখির হাতেখড়ি। ২০০৮ সালে উচ্চতর পড়ালেখার উদ্দেশ্যে ঢাকায় পাড়ি জমান। মাদরাসা-ই আলিয়া ঢাকায় উলূমুল হাদীস এবং মানারাত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য অধ্যয়ন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর মনোনিবেশ করেন এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও মাসিক পত্রিকায় তাঁর লেখা ইসলামিক প্রবন্ধ ও কলাম নিয়মিত প্রকাশিত হয়। এ সময় ‘নবজাগরণ’ নামে একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকা তিনি সম্পাদনা করেন। স্নাতকোত্তর শেষে তিনি প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও পণ্ডিত অধ্যক্ষ ড. এ কে এম ফজলুল হক -এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন এবং তাঁর তত্ত্বাবধানে ইসলামের মৌলিক বিষয়াবলির উপর গবেষণায় দুই বছর অতিবাহিত করেন। ২০১৩ সালের ১ জুন পারিবারিকভাবে নাহিদা ইয়াসমিন নুসরাত-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ব্যক্তিজীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। বর্তমানে তিনি কৃষিভিত্তিক একটি বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

আল-ফারাদীর শৈশব ও কৈশর কেটেছে সম্পূর্ণ ইসলামিক পরিবেশে। পিতা ও আপন বড় ভাই তাঁর শিক্ষক ও প্রশিক্ষক। দ্বিনের দাঈ’ ও মহান আলেমগণ তাঁর অনুপ্রেরণা। ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা, গোঁড়ামি এবং উদাসীনতাকে প্রশ্রয় দেন না। তিনি ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন, আশাবাদী ও পরিবর্তনে বিশ্বাসী। নিজেকে মধ্যপন্থি মুসলিম দাবী করেন। বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। তিনি মনে করেন- বাংলাদেশ পরিবর্তিত আধুনিক বিশ্বব্যবস্থার বাইরে নয়। প্রয়োজন সবকিছু ঢেলে সাজানোর। স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশ একদিন মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে এবং তরুণরাই কেবল পারে এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। এজন্য তিনি তরুণদের আধ্যাত্মিক বিকাশের প্রতি জোর দেন। তিনি আরও মনে করেন- পরিবার হল মানুষ তৈরির সবচেয়ে বড় কারখানা। এখানেই হয় যত মহামানবের জন্ম। একটি সুন্দর পরিবার একটি সুন্দর পৃথিবীর প্রতিচ্ছবি। তাই তিনি সর্বাগ্রে সুষ্ঠু পরিবার ব্যবস্থাপনার প্রতি মনোযোগী হওয়ার কথা বলেন।